অপরূপ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি সাগর কন্যা কুয়াকাটা। বাংলাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত সমুদ্র সৈকত। অপূর্ব সুন্দরের এক লীলাভূমি। ভ্রমণ পিয়াসীদের তীর্থস্থান বলা হয় কুয়াকাটাকে। দেশ বিদেশের লাখো পর্যটক ভিড় জমান এই কুয়াকাটায়, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার নেশায়।
ঢাকা থেকে যেভাবে যাবেন
কুয়াকাটা ভ্রমণের প্রয়োজনীয় তথ্য
সিঙ্গেল কেবিন ভাড়া লঞ্চ ভেদে ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা। এ ছাড়াও আছে লঞ্চের ডেক, যার ভাড়া আরো কম। আপনি চাইলে লঞ্চেই রাতের খাবার অর্ডার
করতে পারেন অথবা নিজের বাসা থেকে নিয়ে যেতে পারেন। লঞ্চের ভ্রমণ খুবই উপভোগ্য।
করতে পারেন অথবা নিজের বাসা থেকে নিয়ে যেতে পারেন। লঞ্চের ভ্রমণ খুবই উপভোগ্য।
লঞ্চে প্রথম ভ্রমণ হলে আপনি আপ্লুত হয়ে পড়বেন।বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার ভেতর লঞ্চ ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়।সকাল ৬টা বা ৭ টা নাগাদ পটুয়াখালী পৌঁছুবেন।সকাল ৬টা থেকেই প্রতি ১ ঘণ্টা পরপর কুয়াকাটার বাস ছেড়ে যায় পটুয়াখালী বাস স্ট্যান্ড থেকে।লঞ্চ ঘাট থেকে বাস স্ট্যান্ড এর ভাড়া ২৫-৩০ টাকা।
সড়কপথে যেতে হলে আপনাকে যেতে হবে গাবতলী বাস স্ট্যান্ড।এসি, নন-এসি দুই ধরনের বাস সার্ভিসই পাবেন।নন এসি বাস ভাড়া ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা। সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ৪টা বাস ছেড়ে যায় ঢাকা থেকে। আর নাইট কোচ এর সময় শুরু সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত।আর গাবতলী থেকে দুই একটা বাস সরাসরি কুয়াকাটার উদ্দেশে ছেড়ে যায় তবে সেগুলোর সার্ভিস তেমন ভাল নয়।
সড়কপথে যেতে হলে আপনাকে যেতে হবে গাবতলী বাস স্ট্যান্ড।এসি, নন-এসি দুই ধরনের বাস সার্ভিসই পাবেন।নন এসি বাস ভাড়া ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা। সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ৪টা বাস ছেড়ে যায় ঢাকা থেকে। আর নাইট কোচ এর সময় শুরু সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত।আর গাবতলী থেকে দুই একটা বাস সরাসরি কুয়াকাটার উদ্দেশে ছেড়ে যায় তবে সেগুলোর সার্ভিস তেমন ভাল নয়।
কুয়াকাটা ভ্রমণের প্রয়োজনীয় তথ্য
কুয়াকাটা যেখানে থাকবেন
কুয়াকাটা থাকার জন্য অনেক হোটেল রয়েছে। ৩ স্টার মানের হোটেল আছে দুটো।তাছাড়া আছে সরকারি ডাকবাংলো।এ ছাড়া মাঝারি মানের অনেক ভাল হোটেল রয়েছে।সিঙ্গেল বেড এর ভাড়া এইসব হোটেল ৩০০ টাকা থেকে শুরু।আর ৬-৭ জন থাকার জন্য ৪ বেডের রুম নিতে পারেন যার ভাড়া পড়বে ৮০০-১৫০০ টাকার মত।সব হোটেল গুলোই সৈকতের কাছে।
কোথায় খাবেন
খাবারের জন্য কুয়াকাটাতে অনেক রেস্তোরাঁ রয়েছে, তবে অর্ডার দেওয়ার আগে অবশ্যই দামটা জেনে নেবেন।
কুয়াকাটা ভ্রমণের প্রয়োজনীয় তথ্য :
৫০০-৭০০ টাকায় একজন গাইড নিয়ে নিবেন, প্রথমদিন গাইড নিজ বাইকে করে ১৪/১৫ টি স্পট ঘুরিয়ে দেখাবে – প্রতি বাইকে ২ জন করে।
প্রথম দিন ঘুরে দেখতে পারেন- মিসরি পাড়া বৌদ্ধ মন্দির, মিসরি পাড়া রাখাইন বাজার , ঝাউবন , ঝাউবন পর্যন্ত রাস্তাটি অসাধারণ ,, ঝাউবনে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন , জায়গাটি সম্পূর্ণ নিরাপদ , ঝাউবন থেকে সমুদ্র সৈকত দিয়ে চলে আসুন তুলাতলি খাল – অসাধারন একটি পথ – খেয়া পেরুলেই লাল কাঁকড়ার চর , যেন এক লাল গালিচা বিছানো বাগান । লাল কাঁকড়ার চরে কিছুটা সময় কাটানোর পর সমুদ্র সৈকত ধরে চলে আসুন কুয়াকাটা মুল সৈকতের পাঁশে থাকা কুয়াকাটার কুয়া। সৈকতে পাওয়া হাজার বছর পুরাতন কাঠের জাহাজ , রাখাইন মহিলা মার্কেট , শুটকি পল্লী।এবার বিস্রাম – লাঞ্চ সেরে একটু রেস্ট।
গাইড কে বলেদিবেন ৪ঃ৩০/৫ টার দিকে চলে আসবে – সৈকত ধরে চলে আসুন লেবুরচর – সেখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকবেন। দেখবেন তিন নদীর মোহনা , সুন্দরবনের পূর্বাংশ এবং ফাতরার বন। সূর্যাস্ত দেখে কিছুটা সময় সৈকতে কাটাতে পারেন। সন্ধ্যার পরে লেবুরচরে বেশী দেরি করবেননা – জোয়ার এসেগেলে ফেরত আসার রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাবে – তাছাড়া টুরিস্ট পুলিশের সাজেশন লেবুরচরে বেশিরাত পর্যন্ত না থাকা ।কোন রকম সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করুন টুরিস্ট পুলিশ এর সাথে।
কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থান সমূহ::
::: সমুদ্র সৈকত
::: শুঁটকি পল্লী
::: গঙ্গামতির জঙ্গল
::: ক্রাব আইল্যান্ড বা কাঁকড়ার দ্বীপ।
::: ফাতরার বন
::: কুয়াকাটার কুয়া
::: সীমা বৌদ্ধ মন্দির
::: কেরানিপাড়া
::: মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির
::: সমুদ্র সৈকত
::: শুঁটকি পল্লী
::: গঙ্গামতির জঙ্গল
::: ক্রাব আইল্যান্ড বা কাঁকড়ার দ্বীপ।
::: ফাতরার বন
::: কুয়াকাটার কুয়া
::: সীমা বৌদ্ধ মন্দির
::: কেরানিপাড়া
::: মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির
কুয়াকাটা গেলে যা দেখে আসতে কখনোই ভুলবেন না
সৈকত থেকে ৬ কিমি দূরে মিছরি পাড়াতে রয়েছে ৩ তলা সমপরিমাণ উচ্চতার আরেক বৌদ্ধ মূর্তি।সৈকতের ঝাউবন থেকে কিছু দূরেই রয়েছে কুয়াকাটা ইকো পার্ক।খুবই নয়নাভিরাম পার্ক।এছাড়া কুয়াকাটা থেকে ট্রলারে করে সাগরের মাঝখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন কিছু সময়ের জন্য। সাথে দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর মত দেখে আসতে পারবেন সুন্দরবনের কিছু অংশ।
সূর্যোদয় হলো সাগর পাড়ের আরেক সৌন্দর্য।যারা কুয়াকাটা আসেন তারা কেউই এই বিষয়টা মিস করেন না।সূর্যোদয় দেখতে হলে আপনাকে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে এবং যেতে হবে সৈকত থেকে কিছুটা দূরে কাউয়ার চর নামক জায়গায়।যেতে পারেন মোটরসাইকেলে করে।সূর্যোদয় দেখার দৃশ্য যে একবার
দেখেছে সে কখনো ভুলতে পারবে না।এছাড়া কাউয়ার চরে দেখতে পাবেন লাল কাঁকড়ার ছুটোছুটি।কুয়াকাটাতে রয়েছে জেলে পল্লী।সৈকতের পশ্চিম দিকে।চাইলে দেখে আসতে পারেন।আর সমুদ্রের পানি যদি গায়ে লাগাতে চান, তাহলে বিনা দ্বিধায় নেমে পড়তে পারেন সাগরের পানিতে।
দেখেছে সে কখনো ভুলতে পারবে না।এছাড়া কাউয়ার চরে দেখতে পাবেন লাল কাঁকড়ার ছুটোছুটি।কুয়াকাটাতে রয়েছে জেলে পল্লী।সৈকতের পশ্চিম দিকে।চাইলে দেখে আসতে পারেন।আর সমুদ্রের পানি যদি গায়ে লাগাতে চান, তাহলে বিনা দ্বিধায় নেমে পড়তে পারেন সাগরের পানিতে।
এখানে কক্সবাজারের মত চোরাবালি টাইপের কিছু নেই।আর কোনো চোরা খাদও নেই।সৈকতে যারা বাইক চালাতে চান তাদের জন্যও আছে সুখবর।কিলোমিটার হিসেবে বাইক ভাড়া পাওয়া যায়।প্রতি কিলো ১০টাকা।সব শেষে প্রিয়জনের সাথে এক মনে দেখে নেবেন সূর্যাস্তের সেই হৃদয় ভোলানো দৃশ্য।কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল নির্জনতা।ঢেউ এর গর্জন, তীরে আছড়ে পড়া ঢেউ আপনাকে অন্য জগতে নিয়ে যাবে।সাগরের সাথে একাত্ম হওয়ার এমন সুযোগ কখনোই হারাবেন না।
Comments
Post a Comment