SaiF UddiN
::::ভালোবাসা::::
☞ লিখাঃ- Saif Uddin
.
-এই তুমি এটা কি সার্ট পরছো? আবুল-আবুল দেখাচ্ছে!
-তুমিই তো বললা যে তোমার এই সার্ট পছন্দ!
-এই স্টাইল আমার পছন্দ! খবিস! তাই বলে এই রং? থাকো তুমি তোমার সার্ট নিয়ে আমি গেলাম।
.
উপরোল্লিখিত কথাগুলো মেঘলা আমাকে এইভাবেই বলে চলে যায়। মেঘলার সাথে আমার ১ বৎসরের প্রেম, কতযে চেষ্টা করি মেঘলার মতো চলতে, পারি না। কিছুদিন পরপরই নরবর করে সম্পর্ক, অনেক কষ্টে সম্পর্কটা টিকে আছে। বৈঠা বিহীন মাঝি, আর অভিমান বিহীন প্রেম যেন একই। তাই বলে এত অভিমান, যেন সহ্য করার সম্ভব না।
.
মেঘলা, আমার থেকে জুনিয়র ওর সাথে আমার পরিচয় হয় ১৪- ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ....... দিবসে কলেজের সেই বটঘাছের পাশে আলী চাচার ফুচকার দোকানে, এই দিনটায় কাউকে একা থাকতে দেখা যায়নি কিন্তু আমি আর মেঘলাই ছিলাম একা। প্রথম দিনেই মেঘলাকে ফুচকা খেতে দেখে আমার ভিতরে কেমন যেন ভাবতে শুরু করে। আলী চাচা একটু দুষ্টু টাইপের আকার-ইঙ্গিতে কথা একটু বেশী বুঝে। মেঘলাকে ফুচকা সাথে আলী চাচার জ্বাল, তার উপরে আমার বামচোখ টিপকানো আলী চাচার বুঝতে দেরী হয়নি জ্বাজ একটু বেশীই দিয়ে বানিয়ে দিল, চাচার পানি খাবার গ্লাস একটা সেটা আমিই আগে সরিয়ে রেখেছি, মেঘলা জ্বাল একটু কম পছন্দ করে, সেই প্রথম দিনের জ্বালের কষ্ট সহ্য না করতে পেরে অনেক বকেছে। যাই হোক সব মিলিয়ে মেঘলা অনেক ভালো, যদিও সুন্দর'না কিন্তু সুন্দরীরা তার কাছে কিছু না।
.
দির্ঘ দিন সম্পর্ক চলতে থাকে একদিন হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো। ফোনটা রিসিভ করছি না কারন রিসিভ করলেই বলবে এখন দেখা করতে হবে। আর দেখা করাটা কোন সমস্যা'না সমস্যা হলো তার বান্ধবিদের সামনে আবার কি বলে ফেলে আমাকে সেই ভয়ে। চার বারের সময় ফোনটা কানে দরলাম।
.
- ও হ্যালো, স্যার।
:- জ্বি মেডাম বলেন?
:- আচ্ছা একটা কথা বলি?
:- জ্বি একটা না হাজারটা বল গো........
:- আমি কিন্তু রেগে যাবো।
:- আচ্ছা ঠিক আছে বল কি বলবা?
:- আমার ফোন ধরতে কি খুব বিরক্তবোধ কর?
:- কি বলছো মেঘলা? আসলে আমার ফোনটা কাছে থাকেনা কেউ কল করেনা, তাই কাছে থাকে না। কই মাত্র ৪বার দিছ,
:- ঠিক আছে আর বলতে হবে না, কাহিনী বাদ দেন স্যার, আচ্ছা আজকে দেখা করতে পারবা?
:- আচ্ছা ঠিক আছে,
:- শোন ঠিক আছে বললেই হবে না, কান পেতে শোন আগের মতো ঐ সার্টটা পরে আমার সামনে আসবা না, বান্ধবীদের সামনে আমার মানটুকু রাইখ, ঠিক আছে,? রাখি এখন।
.
আমারে খেলার পুতুল করে রেখে দিচ্ছে। ও হয়ত অনেক সহ্য করে ফেলেছে। সিদ্ধান্ত নিলাম আজও আগের মত করেই যাবো। যা হয় কপালে! তারপর আমি আমার মত সাধারণ পোশাকে মেঘলার সামনে হাজির হলাম। সাথে সাথে আমার মনটা ভাল হয়ে গেল। মেয়েটা আজও হিজাব পরে আসছে। আর পাশে ওর তিন চারটা বান্ধবী। দেখে বুঝলাম আজ আমার পকেট আর রক্ষা পাবেনা! পকেট তো খালি খুব চিন্তায় পরে গেলাম, যাই হোক তারপর যা হল এটা আমার বিশ্বাস হল না। কারণ আমার পকেট খালি তারপরও বিল দেওয়ার জন্য পকেটে হাত দিয়ে বিল দিতে যাব তখনই মেঘলার বান্ধবীরা বিল দিয়ে দিল! হাস্যকর হলেও সত্য। পরে ওর বান্ধবীরা চলে গেলে বিকালে মেঘলাকে আমি বাসায় পৌছে দিতে যাবো কিন্তু রাজকুমারী আমাকে কানে কানে জানিয়ে দিল সেই আজ বাসায় জাবে না, সে বলল-
.
-চল, কোথায় বসি।
-কোথায় যাবো?
-যেখানে খুশি।
তারপর দুজন ডামুড্যা মডেল টাউনে পরন্ত বিকালটা কাঁটিয়ে দেই, প্রকৃতিটা ছিল একদম আমার মনের মত। আর এত সুন্দর প্রকৃতিতে চুপচাপ থাকা আমার সহ্য হচ্ছে না। নিরবতা ভেঙে মেঘলা বললো,
-একটা সত্যি কথা বলবা?
-না বলব না? বল।
- বলবা না মনে?
- আচ্ছা ঠিক আছে বলব বল?
.
আমি যখন তোমাকে কল দেই তুমি সেটা খুব বিরক্তের সাথে রিসিভ কর, তাই না?
মিথ্যা বলার দরকার নাই। তুমি সত্যই বল, আমি যদি তোমার কাছে ঝামেলা মনে হই তাহলে আমি বোঝা হয়ে থাকতে চাই না। কারণ জোর করে তো ভালবাসা পাওয়া যায় না। তাহলে সেখানে কেন আমার একা বসবাস বল। আমিতো আমার ভিতরে কাউকে খুজে পেয়েছি সে না বুঝলে আমি কি করব? আর একা না থেকোও একা অনুভব করতে হয় সারাদিন যেন কেউ নেই আমার কারো সাথে অভিমান করবো, যে আমার অভিমান ভাঙ্গাবে একাট ফোন দিয়ে?
.
তুমি জানো তোমার কেন আমার বেশি ভাল লাগে? প্রতিদিনের চেয়ে আর বেশি ভালবাসতে ইচ্ছা করে? আর কাছে আসতে ইচ্ছা করে? কোনদিন চিন্তা করে দেখছো? তুমি আমাকে অন্য সব খারাপ মেয়ের সাথে যদি তুলনা কর তাহলে তোমার ভুল হবে।
.
মনে আছে সে দিনের কথা? আমিই তোমাকে ভালবাসি বলছিলাম। তুমি বল নি! আজ জানি না এতগুলা কথা কেন আমার মনে আসছে। তুমি কি বলতে পারবা কেন এমন হচ্ছে? কারণ আমি তোমাকে ভালবাসি...
.
এতক্ষণ শুধু নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। মাথাটা ভো ভো করে ঘুরছে। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না আজকের এই পরন্ত বিকালকে! মেঘলার দিকে তাকিয়ে দেখলাম মেয়েটা নিঃশব্দে কেঁদে যাচ্ছে। ইচ্ছা হচ্ছিল চোখের পানিটা মুছে দেই, কিন্তু আমার মনে হল আমি ঐ চোখের পানি মুছে দেবার যোগ্য নই! মেঘলাকে কিছু বলতে চেয়েও পারলাম না। আমি চলে যাচ্ছি। ইচ্ছা হচ্ছে আজও তোমার সাথে হাতে হাত রেখে হাটি। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে সময়ের সে ট্রেন অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছি বাদ দাও। আমি যাচ্ছি ভাল থেকো।।।
কথাগুলা শুনে মেয়েটা আবার কান্না শুরু করে দিছে। তবে এবার আমার মনে হচ্ছে ঐ জল মুছে দেবার যোগ্যতা আছে। এখন তো হাতে হাত রেখে হাটছি। আশা করি আমার আর কোন ভুল হবে না...
.
-এই তুমি এটা কি সার্ট পরছো? আবুল-আবুল দেখাচ্ছে!
-তুমিই তো বললা যে তোমার এই সার্ট পছন্দ!
-এই স্টাইল আমার পছন্দ! খবিস! তাই বলে এই রং? থাকো তুমি তোমার সার্ট নিয়ে আমি গেলাম।
.
উপরোল্লিখিত কথাগুলো মেঘলা আমাকে এইভাবেই বলে চলে যায়। মেঘলার সাথে আমার ১ বৎসরের প্রেম, কতযে চেষ্টা করি মেঘলার মতো চলতে, পারি না। কিছুদিন পরপরই নরবর করে সম্পর্ক, অনেক কষ্টে সম্পর্কটা টিকে আছে। বৈঠা বিহীন মাঝি, আর অভিমান বিহীন প্রেম যেন একই। তাই বলে এত অভিমান, যেন সহ্য করার সম্ভব না।
.
মেঘলা, আমার থেকে জুনিয়র ওর সাথে আমার পরিচয় হয় ১৪- ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ....... দিবসে কলেজের সেই বটঘাছের পাশে আলী চাচার ফুচকার দোকানে, এই দিনটায় কাউকে একা থাকতে দেখা যায়নি কিন্তু আমি আর মেঘলাই ছিলাম একা। প্রথম দিনেই মেঘলাকে ফুচকা খেতে দেখে আমার ভিতরে কেমন যেন ভাবতে শুরু করে। আলী চাচা একটু দুষ্টু টাইপের আকার-ইঙ্গিতে কথা একটু বেশী বুঝে। মেঘলাকে ফুচকা সাথে আলী চাচার জ্বাল, তার উপরে আমার বামচোখ টিপকানো আলী চাচার বুঝতে দেরী হয়নি জ্বাজ একটু বেশীই দিয়ে বানিয়ে দিল, চাচার পানি খাবার গ্লাস একটা সেটা আমিই আগে সরিয়ে রেখেছি, মেঘলা জ্বাল একটু কম পছন্দ করে, সেই প্রথম দিনের জ্বালের কষ্ট সহ্য না করতে পেরে অনেক বকেছে। যাই হোক সব মিলিয়ে মেঘলা অনেক ভালো, যদিও সুন্দর'না কিন্তু সুন্দরীরা তার কাছে কিছু না।
.
দির্ঘ দিন সম্পর্ক চলতে থাকে একদিন হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো। ফোনটা রিসিভ করছি না কারন রিসিভ করলেই বলবে এখন দেখা করতে হবে। আর দেখা করাটা কোন সমস্যা'না সমস্যা হলো তার বান্ধবিদের সামনে আবার কি বলে ফেলে আমাকে সেই ভয়ে। চার বারের সময় ফোনটা কানে দরলাম।
.
- ও হ্যালো, স্যার।
:- জ্বি মেডাম বলেন?
:- আচ্ছা একটা কথা বলি?
:- জ্বি একটা না হাজারটা বল গো........
:- আমি কিন্তু রেগে যাবো।
:- আচ্ছা ঠিক আছে বল কি বলবা?
:- আমার ফোন ধরতে কি খুব বিরক্তবোধ কর?
:- কি বলছো মেঘলা? আসলে আমার ফোনটা কাছে থাকেনা কেউ কল করেনা, তাই কাছে থাকে না। কই মাত্র ৪বার দিছ,
:- ঠিক আছে আর বলতে হবে না, কাহিনী বাদ দেন স্যার, আচ্ছা আজকে দেখা করতে পারবা?
:- আচ্ছা ঠিক আছে,
:- শোন ঠিক আছে বললেই হবে না, কান পেতে শোন আগের মতো ঐ সার্টটা পরে আমার সামনে আসবা না, বান্ধবীদের সামনে আমার মানটুকু রাইখ, ঠিক আছে,? রাখি এখন।
.
আমারে খেলার পুতুল করে রেখে দিচ্ছে। ও হয়ত অনেক সহ্য করে ফেলেছে। সিদ্ধান্ত নিলাম আজও আগের মত করেই যাবো। যা হয় কপালে! তারপর আমি আমার মত সাধারণ পোশাকে মেঘলার সামনে হাজির হলাম। সাথে সাথে আমার মনটা ভাল হয়ে গেল। মেয়েটা আজও হিজাব পরে আসছে। আর পাশে ওর তিন চারটা বান্ধবী। দেখে বুঝলাম আজ আমার পকেট আর রক্ষা পাবেনা! পকেট তো খালি খুব চিন্তায় পরে গেলাম, যাই হোক তারপর যা হল এটা আমার বিশ্বাস হল না। কারণ আমার পকেট খালি তারপরও বিল দেওয়ার জন্য পকেটে হাত দিয়ে বিল দিতে যাব তখনই মেঘলার বান্ধবীরা বিল দিয়ে দিল! হাস্যকর হলেও সত্য। পরে ওর বান্ধবীরা চলে গেলে বিকালে মেঘলাকে আমি বাসায় পৌছে দিতে যাবো কিন্তু রাজকুমারী আমাকে কানে কানে জানিয়ে দিল সেই আজ বাসায় জাবে না, সে বলল-
.
-চল, কোথায় বসি।
-কোথায় যাবো?
-যেখানে খুশি।
তারপর দুজন ডামুড্যা মডেল টাউনে পরন্ত বিকালটা কাঁটিয়ে দেই, প্রকৃতিটা ছিল একদম আমার মনের মত। আর এত সুন্দর প্রকৃতিতে চুপচাপ থাকা আমার সহ্য হচ্ছে না। নিরবতা ভেঙে মেঘলা বললো,
-একটা সত্যি কথা বলবা?
-না বলব না? বল।
- বলবা না মনে?
- আচ্ছা ঠিক আছে বলব বল?
.
আমি যখন তোমাকে কল দেই তুমি সেটা খুব বিরক্তের সাথে রিসিভ কর, তাই না?
মিথ্যা বলার দরকার নাই। তুমি সত্যই বল, আমি যদি তোমার কাছে ঝামেলা মনে হই তাহলে আমি বোঝা হয়ে থাকতে চাই না। কারণ জোর করে তো ভালবাসা পাওয়া যায় না। তাহলে সেখানে কেন আমার একা বসবাস বল। আমিতো আমার ভিতরে কাউকে খুজে পেয়েছি সে না বুঝলে আমি কি করব? আর একা না থেকোও একা অনুভব করতে হয় সারাদিন যেন কেউ নেই আমার কারো সাথে অভিমান করবো, যে আমার অভিমান ভাঙ্গাবে একাট ফোন দিয়ে?
.
তুমি জানো তোমার কেন আমার বেশি ভাল লাগে? প্রতিদিনের চেয়ে আর বেশি ভালবাসতে ইচ্ছা করে? আর কাছে আসতে ইচ্ছা করে? কোনদিন চিন্তা করে দেখছো? তুমি আমাকে অন্য সব খারাপ মেয়ের সাথে যদি তুলনা কর তাহলে তোমার ভুল হবে।
.
মনে আছে সে দিনের কথা? আমিই তোমাকে ভালবাসি বলছিলাম। তুমি বল নি! আজ জানি না এতগুলা কথা কেন আমার মনে আসছে। তুমি কি বলতে পারবা কেন এমন হচ্ছে? কারণ আমি তোমাকে ভালবাসি...
.
এতক্ষণ শুধু নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। মাথাটা ভো ভো করে ঘুরছে। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না আজকের এই পরন্ত বিকালকে! মেঘলার দিকে তাকিয়ে দেখলাম মেয়েটা নিঃশব্দে কেঁদে যাচ্ছে। ইচ্ছা হচ্ছিল চোখের পানিটা মুছে দেই, কিন্তু আমার মনে হল আমি ঐ চোখের পানি মুছে দেবার যোগ্য নই! মেঘলাকে কিছু বলতে চেয়েও পারলাম না। আমি চলে যাচ্ছি। ইচ্ছা হচ্ছে আজও তোমার সাথে হাতে হাত রেখে হাটি। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে সময়ের সে ট্রেন অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছি বাদ দাও। আমি যাচ্ছি ভাল থেকো।।।
কথাগুলা শুনে মেয়েটা আবার কান্না শুরু করে দিছে। তবে এবার আমার মনে হচ্ছে ঐ জল মুছে দেবার যোগ্যতা আছে। এখন তো হাতে হাত রেখে হাটছি। আশা করি আমার আর কোন ভুল হবে না...
Comments
Post a Comment