.
.
.
ও মা, মা দাওনা একটু ভাত,অনেক ক্ষুধা লেগেছে মা...
-
মেয়েটা কয়েক মুঠি ভাতের জন্য তার মায়ের কাছে বিনতি করছে...
-ভাত নেই যা কাপড় ধুয়ে রোদে শুকা, এর পরে আসিস...
-দাওনা মা একটু ভাত,মা-মা... দাওনা
-অই আমি তর মা নাকি?আরেকবার মা বলে দেখ!!
-
।
মেয়েটার চোখের কোন গড়িয়ে জল পরছে, আর তা তার সত মা বসে বসে দেখছে আর উপভোগ করছে..
।
ফারিহার বয়স মাত্র ৮ বছর যখম তার মা মারা যান।হয়ত বিধাতা তার ভাগ্যে এই লিখন টাই লিখেছিলেন...।
আর তাই হয়ত এই কম বয়সেই মেয়েটার মা মারা যান।
এর পরে ফারিহার বাবা একটা বিয়ে করেন,এই ভেবে বিয়ে করেন যে তার মেয়ের খেয়াল রাখবেন।..
মেয়েটাকে নিজের সন্তান এর মত দেখবেন... ।
অথচ এর মধ্যে কোন কিছুই তার সত মা করেনি...
তার দুইটা সত ভাইবোন ও আছে..
-
মেয়েটার বয়স এখন ১২ বছর,নিথর দেহ,শুকনা শরির। একদম হাড্ডিসার একটা দেহ....
।
মেয়েটা সারাদিন গাধাখাটনি খাটার পরেই হয়ত তার কপালে কিছুটা খাবার জোটে..
।
তার সত মা তাকে দিয়ে কাজ করান।যেমন একটা কাজের মেয়ের মত,অথচ সে তার মেয়ের মতই।...
.
সে যখন যা বলে ফারিহা তখন তা করে আর হয়ত তাকে এটাই করতে হবে।
সে যদি বলে কাপড় ধোও তাহলে ফারিহা কাপড় ধোয়...
যদি বলে থালা-বাসন মাজতে,তাহলে ফারিহা থাকা-বাসন মাজে...
এক কথায় তার সত মা হলো ফারিহার রিমোট কন্ট্রোল..
.
সে কাজ করতে থাকে, অপর দিকে তার সত মা তার সামনেই তার সত ভাই বোনদের খাবার খাওয়ায়,অথচ একটুও ফারিহা কে দেয়না...
.
অপরদিকে ফারিহা কাজ করে আর চোখের জলে ঢেকে রাখত তার ক্ষুধার জ্বালা গুলোকে...
।
ফারিহার চোখের জলের কোন মুল্য ছিলনা তার সত মায়ের কাছে।
তার চোখের জল দেখে সত ভাই বোনের মন একটু হলেও গলে যেত। সত হলেও তাদের রক্তে বইছে ফারিহার বাবার ডিএনএ...।
আসলেই রক্তের একটা আলাদা টান থাকে। যা তার সত ভাই বোনদের মাঝেও ছিল...
.
ফারিহার কান্না দেখে তারাও প্রায় কেঁদেই দিত...।
তখন তারা তার মাকে বলত,,
-মা, ফারিহা আপুকেও খাবার দাও না..
-ফারিহা তোমাদের আপু কে বলছে?
-কিচ্ছু জানিনা,ওকে খাবার দাও নয়ত আমরাও খাবার খাবনা...
- অই লাঠি টা কোথায় রে, থাম খাবি না.....
.
আর মারের ভয়ে চুপ হয়ে যেত তার ছোট সত ভাই বোন গুলো।...
আর এভাবেই অনাহারে থাকত ফারিহা।...
।
মাঝে মাঝে তার ছোট ভাই বোন গুলা,নিজের প্লেটের খাবার হতে লুকিয়ে লুকিয়ে ফারিহা কে দিয়ে বলত,,
-নাও আপু তুমি এগুলো খাও...
-নারে ভাই দিসনা, মা দেখলে তোদের মারবেন...।
-মারলে মারুক, তুমি খাও।..
.
হয়ত আস্তে আস্তে তাদের সাহস টা বেড়ে গিয়েছিল।
সাহস টা বেড়ে গিয়েছিল ফারিহার জন্য...।
।
সত হলেও তারা তো একই ডিএনএ হতে সৃষ্টি ।
আর হয়তো এর ফলেই তাদের মাঝে অন্যরকম একটা সাহস উতরে উঠেছে..।
।
ফারিহার কাপড় টা ছিঁড়ে গেছে অথচ তাকে কাপড় কিনে দেয়া হয়না।অই ছেঁড়া কাপড় টাকেই হয়ত সেলাই করে আরো ২ /৩ মাস চালিয়ে দেয়।....
হাটার জন্য জুতা নেই। আর থেকেই বা কী সে তো কোথাও যেতেই পারবে না
-
মেয়েটা কয়েক মুঠি ভাতের জন্য তার মায়ের কাছে বিনতি করছে...
-ভাত নেই যা কাপড় ধুয়ে রোদে শুকা, এর পরে আসিস...
-দাওনা মা একটু ভাত,মা-মা... দাওনা
-অই আমি তর মা নাকি?আরেকবার মা বলে দেখ!!
-
।
মেয়েটার চোখের কোন গড়িয়ে জল পরছে, আর তা তার সত মা বসে বসে দেখছে আর উপভোগ করছে..
।
ফারিহার বয়স মাত্র ৮ বছর যখম তার মা মারা যান।হয়ত বিধাতা তার ভাগ্যে এই লিখন টাই লিখেছিলেন...।
আর তাই হয়ত এই কম বয়সেই মেয়েটার মা মারা যান।
এর পরে ফারিহার বাবা একটা বিয়ে করেন,এই ভেবে বিয়ে করেন যে তার মেয়ের খেয়াল রাখবেন।..
মেয়েটাকে নিজের সন্তান এর মত দেখবেন... ।
অথচ এর মধ্যে কোন কিছুই তার সত মা করেনি...
তার দুইটা সত ভাইবোন ও আছে..
-
মেয়েটার বয়স এখন ১২ বছর,নিথর দেহ,শুকনা শরির। একদম হাড্ডিসার একটা দেহ....
।
মেয়েটা সারাদিন গাধাখাটনি খাটার পরেই হয়ত তার কপালে কিছুটা খাবার জোটে..
।
তার সত মা তাকে দিয়ে কাজ করান।যেমন একটা কাজের মেয়ের মত,অথচ সে তার মেয়ের মতই।...
.
সে যখন যা বলে ফারিহা তখন তা করে আর হয়ত তাকে এটাই করতে হবে।
সে যদি বলে কাপড় ধোও তাহলে ফারিহা কাপড় ধোয়...
যদি বলে থালা-বাসন মাজতে,তাহলে ফারিহা থাকা-বাসন মাজে...
এক কথায় তার সত মা হলো ফারিহার রিমোট কন্ট্রোল..
.
সে কাজ করতে থাকে, অপর দিকে তার সত মা তার সামনেই তার সত ভাই বোনদের খাবার খাওয়ায়,অথচ একটুও ফারিহা কে দেয়না...
.
অপরদিকে ফারিহা কাজ করে আর চোখের জলে ঢেকে রাখত তার ক্ষুধার জ্বালা গুলোকে...
।
ফারিহার চোখের জলের কোন মুল্য ছিলনা তার সত মায়ের কাছে।
তার চোখের জল দেখে সত ভাই বোনের মন একটু হলেও গলে যেত। সত হলেও তাদের রক্তে বইছে ফারিহার বাবার ডিএনএ...।
আসলেই রক্তের একটা আলাদা টান থাকে। যা তার সত ভাই বোনদের মাঝেও ছিল...
.
ফারিহার কান্না দেখে তারাও প্রায় কেঁদেই দিত...।
তখন তারা তার মাকে বলত,,
-মা, ফারিহা আপুকেও খাবার দাও না..
-ফারিহা তোমাদের আপু কে বলছে?
-কিচ্ছু জানিনা,ওকে খাবার দাও নয়ত আমরাও খাবার খাবনা...
- অই লাঠি টা কোথায় রে, থাম খাবি না.....
.
আর মারের ভয়ে চুপ হয়ে যেত তার ছোট সত ভাই বোন গুলো।...
আর এভাবেই অনাহারে থাকত ফারিহা।...
।
মাঝে মাঝে তার ছোট ভাই বোন গুলা,নিজের প্লেটের খাবার হতে লুকিয়ে লুকিয়ে ফারিহা কে দিয়ে বলত,,
-নাও আপু তুমি এগুলো খাও...
-নারে ভাই দিসনা, মা দেখলে তোদের মারবেন...।
-মারলে মারুক, তুমি খাও।..
.
হয়ত আস্তে আস্তে তাদের সাহস টা বেড়ে গিয়েছিল।
সাহস টা বেড়ে গিয়েছিল ফারিহার জন্য...।
।
সত হলেও তারা তো একই ডিএনএ হতে সৃষ্টি ।
আর হয়তো এর ফলেই তাদের মাঝে অন্যরকম একটা সাহস উতরে উঠেছে..।
।
ফারিহার কাপড় টা ছিঁড়ে গেছে অথচ তাকে কাপড় কিনে দেয়া হয়না।অই ছেঁড়া কাপড় টাকেই হয়ত সেলাই করে আরো ২ /৩ মাস চালিয়ে দেয়।....
হাটার জন্য জুতা নেই। আর থেকেই বা কী সে তো কোথাও যেতেই পারবে না
।
বাবা তো তার বিশাল ব্যবসায়ী।মাসের প্রায় ৩ টা সপ্তাহ দেশের বাইড়ে থাকে,আর এর ফলেই হয়ত তার পক্ষে মেয়ের (ফারিহার) খেয়াল রাখাটা সম্ভব হয়ে ওঠে না...
.
আর ফারিহা যদি তার বাবাকে এসেব বলে তাহলে তাকে মার খেতে হবে,আর হয়ত এর ফলেই মেয়েটা চুপ করে থাকে...।
চুপ করে থাকে ঠিক একটা বোবা মানুষের মত।আর হয়ত জরিপ করলে দেখা যাবে যে তার জীবনের আট আনা বিলীন হয়ে গেছে....।
সে তার জীবনে শেষ কবে হেসেছিল হয়ত তাও তার মনে নেই...
।
এখন হাসার জন্য আর বাকিই কী রইল?
এখন শুধু মেয়েটা কান্না করে।তাকে ঘুমোতে দেয়া হতো সত ভাই বোনদের রুমে।..
তারা দুজনকে বিছানায় ঘুমাতে দেয়া হতো,আর ফারিহাকে দেয়া হতো নিচে টাইলস দ্বারা বাধানো ফ্লোরটায়....
আর এতে করে তার সত ভাই বোন গুলা তাকে তাদের কম্বল বা কাথাখানা দিয়ে বলত,
-ফারিহা আপু নাও,এটা জড়িয়ে ঘুমাও।
-নারে ভাই,মা তোদের মারবেন...
-মারলে মারুক
তাদের জোরজবরদস্তি তে সে কাথা বা কম্বল নিতেই হতো....।
.
ঘুম কি আর চোখে আসে?সারারাত মারা যাওয়া মায়ের ছবি দেখে চোখের জল ফালায়.....
মাঝে মাঝে মেয়েটা বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে আকাশ পানে চেয়ে থাকে।চেয়ে থাকে অই আকাশের তারা গুলোর পানে।.
এজন্যই তাকিয়ে থাকে, কেননা তার বাবা তাকে কো একদিন আকাশের বড় তারাটা দেখিয়ে হয়ত বলেছিল, মামনি অই যে দেখা যাচ্ছা, ওই যে জ্বল জ্বল করে জ্বলছে ওটাই তোমার আম্মু,সে আমাদের দেখে হাসছে..
.
তারাটার দেখতে দেখতে কান্না করে কাটিয়ে দিত হাতির মত মস্ত বড় রাতটাকে...
।
ফারিহার মত অনেক মেয়ে বা ছেলে আছে যারা মা
হারানোর পরে সত মায়ের অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছে। তাদের জীবনটা যে কেমন তা বলে বুঝাতে পারবো না।তাদের জীবনটা হয়ত অনুভব ও করতে পারবো না...
।
ফারিহার ভাইবোন গুল সত হলেও ফারিহাকে অনেক ভালবাসে। সত হলেও ভাইবোন।..... আর ফারিহার কাছে এটাই হয়ত অনেক বেশি কিছু পাওয়া...
তার ভাগ্যের লেখনি টা হয়ত উল্টো হয়েছে যার ফলে সে এখন কষ্ট পাচ্ছে আগামীতে হয়ত অনেক সুখি হবে,তার জীবনে আট আনা সুখে ভরপুর থাকবে।...
বাবা তো তার বিশাল ব্যবসায়ী।মাসের প্রায় ৩ টা সপ্তাহ দেশের বাইড়ে থাকে,আর এর ফলেই হয়ত তার পক্ষে মেয়ের (ফারিহার) খেয়াল রাখাটা সম্ভব হয়ে ওঠে না...
.
আর ফারিহা যদি তার বাবাকে এসেব বলে তাহলে তাকে মার খেতে হবে,আর হয়ত এর ফলেই মেয়েটা চুপ করে থাকে...।
চুপ করে থাকে ঠিক একটা বোবা মানুষের মত।আর হয়ত জরিপ করলে দেখা যাবে যে তার জীবনের আট আনা বিলীন হয়ে গেছে....।
সে তার জীবনে শেষ কবে হেসেছিল হয়ত তাও তার মনে নেই...
।
এখন হাসার জন্য আর বাকিই কী রইল?
এখন শুধু মেয়েটা কান্না করে।তাকে ঘুমোতে দেয়া হতো সত ভাই বোনদের রুমে।..
তারা দুজনকে বিছানায় ঘুমাতে দেয়া হতো,আর ফারিহাকে দেয়া হতো নিচে টাইলস দ্বারা বাধানো ফ্লোরটায়....
আর এতে করে তার সত ভাই বোন গুলা তাকে তাদের কম্বল বা কাথাখানা দিয়ে বলত,
-ফারিহা আপু নাও,এটা জড়িয়ে ঘুমাও।
-নারে ভাই,মা তোদের মারবেন...
-মারলে মারুক
তাদের জোরজবরদস্তি তে সে কাথা বা কম্বল নিতেই হতো....।
.
ঘুম কি আর চোখে আসে?সারারাত মারা যাওয়া মায়ের ছবি দেখে চোখের জল ফালায়.....
মাঝে মাঝে মেয়েটা বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে আকাশ পানে চেয়ে থাকে।চেয়ে থাকে অই আকাশের তারা গুলোর পানে।.
এজন্যই তাকিয়ে থাকে, কেননা তার বাবা তাকে কো একদিন আকাশের বড় তারাটা দেখিয়ে হয়ত বলেছিল, মামনি অই যে দেখা যাচ্ছা, ওই যে জ্বল জ্বল করে জ্বলছে ওটাই তোমার আম্মু,সে আমাদের দেখে হাসছে..
.
তারাটার দেখতে দেখতে কান্না করে কাটিয়ে দিত হাতির মত মস্ত বড় রাতটাকে...
।
ফারিহার মত অনেক মেয়ে বা ছেলে আছে যারা মা
হারানোর পরে সত মায়ের অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছে। তাদের জীবনটা যে কেমন তা বলে বুঝাতে পারবো না।তাদের জীবনটা হয়ত অনুভব ও করতে পারবো না...
।
ফারিহার ভাইবোন গুল সত হলেও ফারিহাকে অনেক ভালবাসে। সত হলেও ভাইবোন।..... আর ফারিহার কাছে এটাই হয়ত অনেক বেশি কিছু পাওয়া...
তার ভাগ্যের লেখনি টা হয়ত উল্টো হয়েছে যার ফলে সে এখন কষ্ট পাচ্ছে আগামীতে হয়ত অনেক সুখি হবে,তার জীবনে আট আনা সুখে ভরপুর থাকবে।...
।
কোন মেয়ের জীবন যাতে ফারিহার মত না হয় সেই দোয়াটাই করি।যদি তা কারও ভাগ্যে লিখা থাকে তাহলে আর কিছু বলার নেই,কেননা ভাগ্যের লিখন বদলানো যায়না...
।
একটু মানবতাবোধ নিয়ে চিন্তা করে, দেখবেন অনেক কিছু শিখতে পারবেন। শেষ কথা বলতে চাই যে সকল মা একরকম হয়না। সত হলেও নিজের সন্তান মনে করেন।আর তারাই হয়ত আসল মা। যারা নাকি অন্যের পেটে ধরা সন্তান কে আপন করে নিতে পারে..
সে সকল মায়েদের জন্য রইল অনেক ভালবাসা..
কিছু কিছু গল্পের শেষ হয়না,তেমনি এই গল্পটার ও শেষ দেখা গেল না।
।
সুখে শান্তিতে থাকুক সকল মায়ের সব সন্তানেরা।ভাল থাকুক সকল বঙ্গজননী মায়েরা...
এই প্রতাশ্যা, ---
--
---[আর কিছু বলার নেই]
কোন মেয়ের জীবন যাতে ফারিহার মত না হয় সেই দোয়াটাই করি।যদি তা কারও ভাগ্যে লিখা থাকে তাহলে আর কিছু বলার নেই,কেননা ভাগ্যের লিখন বদলানো যায়না...
।
একটু মানবতাবোধ নিয়ে চিন্তা করে, দেখবেন অনেক কিছু শিখতে পারবেন। শেষ কথা বলতে চাই যে সকল মা একরকম হয়না। সত হলেও নিজের সন্তান মনে করেন।আর তারাই হয়ত আসল মা। যারা নাকি অন্যের পেটে ধরা সন্তান কে আপন করে নিতে পারে..
সে সকল মায়েদের জন্য রইল অনেক ভালবাসা..
কিছু কিছু গল্পের শেষ হয়না,তেমনি এই গল্পটার ও শেষ দেখা গেল না।
।
সুখে শান্তিতে থাকুক সকল মায়ের সব সন্তানেরা।ভাল থাকুক সকল বঙ্গজননী মায়েরা...
এই প্রতাশ্যা, ---
--
---[আর কিছু বলার নেই]
Comments
Post a Comment