-ড.মুহাম্মদ রেজাউল করিম
ঈমান বা বিশ্বাস এর ধন-ভান্ডার হতে যারা রিক্তহস্ত তারাই প্রকৃত অর্থে হতভাগা। তারা সর্বদাই দুর্দশাগ্রস্থ ও ক্রুদ্ধ। একজন মানুষের সফলতার পেছনের বিশ্বাসের জায়গাকে খুব গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করা হয়। যার বিশ্বাসের ভিত যত মজবুত তিনি তত দূর্বার গতিতে ছুটে চলেন লক্ষ্যপানে। পৃথিবীতে দ্বিগবিজয়ী মাহাত্ন্যরা দুঃখ-কষ্ট ও সমস্যার মহাসাগর পাড়ি দিয়ে অর্জন করেছেন চূড়ান্ত সফলতা। সঙ্কটের পর সঙ্কট মোকাবেলা করে দূর্নিবার গতিতে এগিয়ে চলেছেন মঞ্জিলের দিকে।
সত্য পথের পথিকগণ সঙ্কটে বিচলিত হয় না, বরং সঙ্কট তাদের দৃঢ় প্রত্যয় ও ঈমানকে আরো শক্তিশালী হতে সাহায্য করে। কিন্তু দূর্বলচিত্তদের জন্য বিপরীত অবস্থাটাই সত্য। যখন তারা প্রতিকূল অবস্থা ও সঙ্কটের কবলে পড়ে, তখন শুধু তাদের ভয়ের মাত্রাই বৃদ্ধি পায়। এ জন্য বলা হয় ”বিপর্যয়ের সময় একটি সাহসী আত্নার চেয়ে বেশি উপকারী আর কোন কিছুই নেই। যার এমন আত্না আছে সেই প্রশান্তমনা- তার দৃঢ় বিশ্বাস ও শীতল স্নায়ু (প্রশান্ত মন ও ঠান্ডা মাথা) আছে। তাঁরা সার্বক্ষণিক লড়াইয়ের বাহন বানিয়েছেন ধৈর্য ও আল্লাহর উপর দৃঢ় বিশ্বাস। এই ধৈর্যের একমাত্র উদ্দেশ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি। দৃঢ়প্রত্যয়ীরা মনে করে এই ধৈর্যের আসন্ন এক শুভ পরিণতি আসবেই।
অপরপক্ষে কাপুরুষ ও ভীতরা কোন নির্দিষ্ট দিনের আসন্ন বিপদের আশঙ্কা ও পূর্বানুভূতিতে নিজেদেরকে কয়েক দফা জবাই করে। তাই, যদি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত জীবন আশা করলে তবে সকল অবস্থাকে সাহস ও অধ্যবসায়ের সাথে মুকাবেলা করতে হবে। তা হবে হটকারিতা ও হীনমন্যতা মুক্ত।
কোন দু:সংবাদে ইসলামী আন্দোলনের সৈনিকদের মধ্যে সামান্যতম ভূ-কম্পন থাকবে না। তাঁরা কেবল প্রতিপালকের সাহায্যপ্রাপ্ত হন এবং তাঁর প্রতিশ্রুতির উপর হন দৃঢ় প্রত্যয়ী। আল্লাহ বলেন “তিনি তাদের উপর প্রশান্তি অবতীর্ণ করলেন।” (৪৮:১৮) He sent down tranquillity upon them. মহান আল্লাহর বাণী-“অবশ্যই আল্লাহই প্রতিটি জিনিসের জন্য একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।” (৬৫:৩)
আল্লাহ বলেন “আর এবং যারা দৃঢ় বিশ্বাসী নয়, তারা যেন আপনাকে বিচলিত না করে।” (৩০:৬০)
So be patient. Indeed, the promise of Allah is truth. And let them not disquiet you who are not certain [in faith].
“তাদের ষড়যন্ত্রে আপনি মনঃক্ষুন্ন হবেন না।” (আল কুরআন-১৬ :১২৭)
“আর যে ব্যক্তি আমার “যিকির (উপদেশমালা) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে তার জন্য হবে দুনিয়ায় সংকীর্ণ জীবন এবং কিয়ামতের দিন আমি তাকে উঠাবো অন্ধ করে। (২০-সূরা ত্বাহা : আয়াত-১২৪)
''And whoever turns away from My remembrance- indeed, he will have a depressed life, and We will gather him on the Day of Resurrection blind.”
So be patient. Indeed, the promise of Allah is truth. And let them not disquiet you who are not certain [in faith].
“তাদের ষড়যন্ত্রে আপনি মনঃক্ষুন্ন হবেন না।” (আল কুরআন-১৬ :১২৭)
“আর যে ব্যক্তি আমার “যিকির (উপদেশমালা) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে তার জন্য হবে দুনিয়ায় সংকীর্ণ জীবন এবং কিয়ামতের দিন আমি তাকে উঠাবো অন্ধ করে। (২০-সূরা ত্বাহা : আয়াত-১২৪)
''And whoever turns away from My remembrance- indeed, he will have a depressed life, and We will gather him on the Day of Resurrection blind.”
আত্নাকে পবিত্র করার, উদ্বিগ্নতা ও দুশ্চিন্তা দূর করার একমাত্র উপায় হল সমগ্র বিশ্বজগতের প্রতিপালক মহান আল্লাহর উপর পুরোপুরি ঈমান রাখা। প্রকৃতপক্ষে, যখন কারো ঈমান থাকে না তখন জীবনে কোন প্রকৃত অর্থ থাকতে পারে না।
একজন পাকা নাস্তিক যদি সে ঈমান না আনে তবে সে সর্বাপেক্ষা ভালো যে কাজটি করতে পারে তা হলো- সে আত্নহনন করতে পারে। এমনটি করে কমপক্ষে সে যে অন্ধকারাচ্ছন্ন ও হতভাগা জীবন-যাপন করছে তার থেকে সে নিজেকে মুক্ত করতে পারবে। ঈমানহীন জীবন কতই না হীন ও তুচ্ছ!
একজন পাকা নাস্তিক যদি সে ঈমান না আনে তবে সে সর্বাপেক্ষা ভালো যে কাজটি করতে পারে তা হলো- সে আত্নহনন করতে পারে। এমনটি করে কমপক্ষে সে যে অন্ধকারাচ্ছন্ন ও হতভাগা জীবন-যাপন করছে তার থেকে সে নিজেকে মুক্ত করতে পারবে। ঈমানহীন জীবন কতই না হীন ও তুচ্ছ!
আল্লাহর সীমা লঙ্ঘণকারীদের জীবন কতইনা চিরন্তনভাবে অভিশপ্ত!“(হেদায়েত পথ হতে) আমি তাদের মনোভাবের (তাদের দৃষ্টিভঙ্গির) তেমনি পরিবর্তন করে দিব যেমনি তারা এর প্রতি প্রথমবার বিশ্বাস স্থাপন করেনি (তথা ঈমান আনেনি) এবং আমি তাদেরকে তাদের অবাধ্যতায় উদভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়াতে দিব।” (৬-সূরা আল আন’আম : আয়াত-১১০)
ÒAnd We will turn away their hearts and their eyes just as they refused to believe in it the first time. And We will leave them in their transgression, wandering blindly.”
তাই আল্লাহ ছাড়া কারো উপাস্য হওয়ার অধিকার আছে?। এ প্রশ্নাতীত ঈমান (বিশ্বাস) রাখার সময় কি এখনো আসেনি? মূর্তিতে বিশ্বাস যে হাস্যকর, নাস্তিকতা যে অযৌক্তিক অবৈজ্ঞানিক নবীগণ যে সত্যবাদী ছিলেন এবং আকাশসমূহ ও পৃথিবীর মালিকানা যে একমাত্র আল্লাহরই শত শত বছরের অভিজ্ঞতার পরেও কি মানবজাতিকে এ বাস্তবতার দিকে পরিচালিত হওয়া উচিত নয়? সকল প্রশংসা আল্লাহরই প্রাপ্য এবং তিনি সবকিছুর ওপর আল্লাহই ক্ষমতাবান। মুলত: আপনার ঈমানের সবলতা বা দূর্বলতা ও দৃঢ়তা বা কোমলতার স্তর অনুপাতেই আপনি সুখী হবেন।
চলবে---
Comments
Post a Comment